সুরাপ্রেমীদের ভীড় মদের দোকানে দোকানে , দীর্ঘ লাইন মদ সংগ্ৰহে

4th May 2020 বর্ধমান
সুরাপ্রেমীদের ভীড় মদের দোকানে দোকানে , দীর্ঘ লাইন মদ সংগ্ৰহে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : লকডাউনের মধ‍্যেই সুরাপ্রেমীদের খুশি করে গ্ৰীন , অরেঞ্জ , রেড জোনে খুলে গেল মদের দোকান । কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা প্রকাশের পরেই সকাল থেকে মদের দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভীড় । কলকাতা সহ জেলায় জেলায় মদের দোকানের সামনে ঠাসা ভীড় । লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা মদের জন‍্য । চল্লিশ দিন লকডাউনের পর মদের দোকান খুলে যাওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস সব জায়গায় সুরাপ্রেমীদের । পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে সোমবার বিকেল ৩ টে থেকে ৬ টা অবধি খুললো আবগারি দপ্তরের তরফে প্রশাসনের কাছে পাঠানো তালিকা অনুসারে মদের দোকান । দীর্ঘ দিন পর দোকান খুলতেই মদ প্রেমীদের ভীড় । যদিও প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে বেনিয়ম দেখলেই বন্ধ করে দেওয়া হবে দোকান । আবগারি দপ্তরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে । 

* সংক্রমিত এলাকায় মদের দোকান খোলা যাবে না  * শপিং মলে থাকা মদের দোকান খুলবে না       * দোকানের বাইরে দাম লেখা চার্ট রাখতে হবে  * শুধুমাত্র সিল করা বোতল বিক্রি করা যাবে । দোকানের সামনে মদ‍্যপান চলবে না  * একজন ক্রেতাকে দু বোতলের বেশী মদ বিক্রি করা যাবে না   * অনলাইনে অর্ডার নিয়ে হোম ডেলিভারি করা যাবে  * মাস্ক না পরে এলে সেই ক্রেতাকে মদ বিক্রি করা যাবে না  * দোকানের সামনে জমায়েত চলবে না । দুজন ক্রেতার মাঝে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে  * মদের দোকানে হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার রাখতে হবে * বেলা ১২ টা থেকে সন্ধ‍্যা ৭ অবধি খোলা থাকবে মদের দোকান  * প্রশাসনের সমস্ত নির্দেশ মেনে চলতে হবে ব‍্যবসায়ীকে  ও ক্রেতাদের ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।